খোকসায় লেগেছে পুজোর আমেজ
প্রকাশিত : ১৪:৫০, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
আজ শুভ মহালয়া। দেবীপক্ষ শুরু। বর্ষার অবিরল জল ধারা পেরিয়ে নীল আকাশে তুষারের মতো সাদা মেঘের ভেলায় ছোটাছুটি , নদীর তীরে সাদা কাশফুলের দোল খাওয়া , শিউলি ফুলের মাতাল ঘ্রাণ, রাতের চাঁদের স্নিগ্ধ স্নানরত পৃথিবীকে দেখে বলে দিতে পারে শরৎ এসেছে ধরণীতে ।
দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব । অসুর বিনাশিনী রূপে দুর্গার আবির্ভাব ঘটে বছরে দুইবার। পুরান অনুযায়ী রাজা সুরথের আমলে বাসন্তী পূজা আর রামায়ণের উপাখ্যান অনুযায়ী রাক্ষস রাজ রাবণ নিধনের জন্য রামচন্দ্র শরৎকালে দেবীকে আহবান করেছিল । এটি অকালবোধন নামে পরিচিত। পরবর্তীকালে প্রচার প্রসারের আয়োজনের ঘনঘটায় রামচন্দ্রের শারদীয় দুর্গোৎসব হয়ে ওঠে সর্বব্যাপী । এটিই এখন প্রচলিত। এই হল বিপদনাশিনী দেবী মাতা দুর্গা । দুর্গম নামক অসুরকে বধ করার জন্য দেবীর নাম হয়েছে দুর্গা ।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও খোকসাতে ৬৪টি পূজা মন্ডপে মন্ডপে পালিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব । ইতিমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কারিগরেরা মাটির কাজ শেষ করে রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন । আগামী ২০ অক্টোবর দুর্গা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে । এবার দেবী দুর্গার ঘোটকে আগমন এবং ঘোটকে গমন । দেবীর আসা-যাওয়া অশুভ শক্তির ইঙ্গিত করে। খোকসা উপজেলার নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস এবং ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করছেন । পূজা মন্দিরের কমিটিকে নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক নির্দেশনা পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন ।
এ ব্যাপারে খোকসা থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, আমরা বিভিন্ন মন্দির গুলোতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি । আমাদের প্রশাসন রাতভর কাজ করে যাচ্ছে । সরকারি আদেশ পালন করছি । কোনরকম অপ্রীতিকর কাজ যাতে না হয় আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। কুষ্টিয়া জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জয়দেব কুমার বিশ্বাস বলেন, এবারের দুর্গাপূজা উৎসব মুখর পরিবেশ অনুষ্ঠিত হবে । আমাদের আয়োজনের ঘাটতি নেই । আমরা বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করছি । প্রশাসনও আমাদের সাথে কাজ করছে । তিনি সবাইকে অগ্রিম শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।
এবার কুষ্টিয়াতে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে খোকসাতে ৬৪টি, কুমারখালীতে ৬০টি, কুষ্টিয়া সদরে ৮৩টি, মিরপুরে ২৬টি, ভেড়ামারায় ১১টি এবং দৌলতপুরে ১৪টি । আজ খোকসায় বিভিন্ন বস্ত্র বিপণনীতে গিয়ে দেখা গেছে কেনাকাটার ভিড় । তাছাড়াও অন্যান্য দোকানগুলোতেও ছিল চোখে পড়ার মত কেনাকাটা ।
আরও পড়ুন