ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪

খোকসায়  লেগেছে পুজোর আমেজ 

রঞ্জন ভৌমিক 

প্রকাশিত : ১৪:৫০, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

আজ শুভ মহালয়া। দেবীপক্ষ শুরু। বর্ষার অবিরল জল ধারা পেরিয়ে নীল আকাশে তুষারের মতো সাদা মেঘের ভেলায় ছোটাছুটি , নদীর তীরে  সাদা কাশফুলের দোল খাওয়া , শিউলি ফুলের মাতাল ঘ্রাণ, রাতের চাঁদের স্নিগ্ধ স্নানরত পৃথিবীকে দেখে বলে দিতে পারে শরৎ এসেছে ধরণীতে । 

দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের  মধ্যে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব । অসুর বিনাশিনী রূপে দুর্গার আবির্ভাব ঘটে বছরে দুইবার। পুরান অনুযায়ী রাজা সুরথের আমলে বাসন্তী পূজা  আর রামায়ণের উপাখ্যান অনুযায়ী  রাক্ষস রাজ রাবণ নিধনের জন্য রামচন্দ্র শরৎকালে দেবীকে আহবান করেছিল । এটি অকালবোধন নামে পরিচিত।  পরবর্তীকালে প্রচার প্রসারের আয়োজনের ঘনঘটায় রামচন্দ্রের  শারদীয় দুর্গোৎসব হয়ে ওঠে  সর্বব্যাপী । এটিই এখন প্রচলিত। এই হল  বিপদনাশিনী দেবী মাতা দুর্গা । দুর্গম নামক  অসুরকে বধ করার জন্য দেবীর নাম হয়েছে দুর্গা । 

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও খোকসাতে ৬৪টি পূজা মন্ডপে মন্ডপে পালিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব । ইতিমধ্যেই  প্রতিমা তৈরির কারিগরেরা মাটির কাজ শেষ করে রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন । আগামী ২০ অক্টোবর  দুর্গা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের  দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে । এবার  দেবী দুর্গার ঘোটকে আগমন এবং ঘোটকে  গমন । দেবীর আসা-যাওয়া অশুভ শক্তির ইঙ্গিত করে। খোকসা   উপজেলার  নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস এবং ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করছেন । পূজা মন্দিরের কমিটিকে নিয়ে বিভিন্ন  সচেতনতামূলক নির্দেশনা পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন । 

এ ব্যাপারে খোকসা থানার ওসি  মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, আমরা বিভিন্ন মন্দির গুলোতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি । আমাদের প্রশাসন রাতভর কাজ করে যাচ্ছে । সরকারি আদেশ পালন করছি । কোনরকম অপ্রীতিকর কাজ যাতে না হয় আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। কুষ্টিয়া জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ  সম্পাদক এডভোকেট জয়দেব কুমার বিশ্বাস বলেন, এবারের দুর্গাপূজা  উৎসব মুখর পরিবেশ অনুষ্ঠিত হবে । আমাদের আয়োজনের ঘাটতি নেই । আমরা বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করছি । প্রশাসনও আমাদের সাথে কাজ করছে । তিনি সবাইকে অগ্রিম  শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । 

এবার কুষ্টিয়াতে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে খোকসাতে ৬৪টি, কুমারখালীতে ৬০টি, কুষ্টিয়া সদরে ৮৩টি, মিরপুরে ২৬টি, ভেড়ামারায় ১১টি এবং দৌলতপুরে ১৪টি ।  আজ খোকসায় বিভিন্ন বস্ত্র বিপণনীতে গিয়ে দেখা গেছে কেনাকাটার ভিড় । তাছাড়াও অন্যান্য দোকানগুলোতেও ছিল  চোখে পড়ার মত কেনাকাটা ।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি